ভোলায় ফ্যাসিস্ট আমলে গণমাধ্যমকর্মী দাউদ ইব্রাহিম তোফায়েলের গুন্ডাদের হাতে আহত
নিজস্ব প্রতিবেদক
6
প্রকাশিত: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ০৭:০৯:০৯ পিএম

ওই দিনটি ছিলো ৪ আগস্ট ২০২১ সাল। তখন তোফায়েল লীগের দৌরাত্ম ও সন্ত্রাসলীলার এক ভয়ঙ্কর জনপদ ছিলো ভোলা। সাংবাদিকরা ছিলো তার গৃহপালিত। প্রেসক্লাব ছিলো ওই গৃহপালিতদের আয়নাঘর। সেখানে গণমাধ্যম ও স্বাধীন সাংবাদিকতার বদলে চলতো তোফায়েলের চেলাচামুন্ডাদের নেশাবাজী আর নর্তকী নৃত্যের উম্মাদনা। যদি দু'একজন সংবাদকর্মী তার গন্ডির বাইরে যেতো, তখনি তার উপর চলে আসতো কেয়ামতের আজাব। আর তার অন্যায়কর্ম বিরোধী এমনি সাহসী গণমাধ্যমকর্মী দাউদ ইব্রাহিম।
ফ্যাসিস্ট হাসিনার সাবেক ওই এমপি ও মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের ভাতিজা স্বপন, মিলন,বাচ্চু'র নেতৃত্বে জেলাব্যাপী চলতে লুটপাট আর ত্রাসের রাজত্ব। সেই জমানায় এসব লুটেরাদের নানা পৈচাশিক ঘটনার তথ্য সংগ্রহে দিঘলদী ও বাংলাবাজার যান তরুণ সাহসী কলমযোদ্ধা দাউদ ইব্রাহীম ও তার সহযোদ্ধা বর্তমান এটিএন নিউজের সাংবাদিক ফরিদুল ইসলাম। নারী নিপীড়ন ও জুলুমবাজ এসব দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন তারা। তোফায়েলের লম্পট হায়েনাদের পাপের রাজ্যের খোঁজ পেয়ে সেখানে যাওয়াই ছিল তাদের অপরাধ। তোফায়েলর গুন্ডা বাহিনীর নির্মমতার শিকার হন দুই গণমাধ্যমকর্মী। হত্যার উদ্দেশ্যে নির্যাতনের নির্মম স্টীম রোলার চালানো হয় তাদের উপর। এক পর্যায়ে তাদের গুম করে তোফায়েলের ভাতিজা সন্ত্রাসী স্বপনের টর্চারসেলে আটক রাখা হয় ইব্রাহীম ও ফরিদকে। অবর্ণনীয় নির্যাতনের পর অচেতন হয়ে পড়লে তারা মারা গেছে ভেবে তাদেরকে রাস্তায় ফেলে রাখা হয়। তখন পথচারীরা তাদেরকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তাদের জ্ঞান ফিরলে ভাতিজা মিলন দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ভোলা থানায় মিথ্যা মামলা ঝুলিয়ে দেয়। তখন ভোলার গণমাধ্যমকর্মীরা থানায় ছুটে যান। মামলা না দেয়ার অনুরোধ করেন লম্পট মিলনকে। কিন্তু তখন সাংবাদিকদের সেই অনুরোধকেও বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখানো হয়। মিথ্যে মামলায় জেল খাটতে হয় সাংবাদিক দাউদ ইব্রাহিম ও ফরিদুল ইসলামকে।
সাংবাদিক দাউদ ইব্রাহিম জানান, তোফায়েলের আত্মীয় নামের গুন্ডারা আমাকে এমনভাবে নির্যাতন চালিয়েছে যে,ওই হামলার ক্ষত আমাকে এখনো বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। তিনি জানান, শুধু মামলা আর নির্যাতন করেই খ্যান্ত হননি তারা। ওই ঘটনার পর থেকে তোফায়েল বাহিনী দাউদ ইব্রাহিম পরিবারের উপর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন হামলা চালায়। তোফায়েল আহমেদের পরিবারের লোকজন সংবাদ প্রকাশের জের ধরে তোফায়েল আহমেদের বাসার কাজের ছেলে হাসনাইন তার ফুফাতো ভাই স্থানীয় সন্ত্রাসী জাকির, জাফর জামাল ও ইউসুফকে সাথে নিয়ে তার বাবার উপর আক্রমন চালায়,তাকে প্রকাশ্যে হত্যার চেষ্টা করে।
বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে তার মা, ভাই ও স্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা করে এবং তার স্ত্রীর হাত ভেঙে গুড়িয়ে দেয়। ওইসব সন্ত্রাসীরা সাংবাদিক দাউদ ইব্রাহিমদের পৈতৃক জমি জোরপূর্বক দখলে নিয়ে সেখানে স্থাপনা তৈরী করে রেখেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই জমি এখনো তোফায়েল বাহিনী দখলে রেখে তাদের গড়ে তোলা আস্তানায় রাষ্ট্র বিরোধী নাশকতার গোপন মিটিং করে থাকে। নদীর জলদস্যুরাও সেখানে মিলিত হয় বলেও একটি সূত্র গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। এসব সন্ত্রাসীদের আস্তানা এখনো ধ্বংস করা না হলে রাষ্ট্র ও সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনমানের জন্য এরা মারাত্মক হুমকির কারন হবে বলে স্থানীয়রা মনে করছেন। তাই এদের শেখর উপড়ে ফেলে এসব সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন এলাকাবাসী।
আরও পড়ুন:
রাজনীতি সম্পর্কিত আরও

ভোলায় ফ্যাসিস্ট আমলে গণমাধ্যমকর্মী দাউদ ইব্রাহিম তোফায়েলের গুন্ডাদের হাতে আহত
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ভোলায় মুহাদ্দিস মাওলানা আমিনুল হক নোমানী হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও শোক র্যালি অনুষ্ঠিত
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ভোলায় শহীদ আমিনুল ইসলাম নোমানীর রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ভোলায় অশ্রুসিক্ত ভালোবাসায় চিরবিদায় নিলেন শহীদ মাওলানা নোমানী, জানাযায় মানুষের ঢল ঃ ৩ দফা কর্মসূচি ঘোষণা
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ভোলা দারুল হাদিস কামিল মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাও: মোঃ আমিনুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যার : প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ভোলায় বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫