ষ্টাফ রিপোর্টার:টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দলিতদের পিছনে রাখা যাবে না। এই স্লোগানকে সামনে রেখে। গতকাল ২১ নভেম্বর সোমবার সকাল ১১টায় ভোলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক
মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত মতবিনিময় সভায় দলিত জনগোষ্ঠীর ৮দফা দাবি নিম্নে তুলে ধরা হয়েছে।
১ জাত-পাত ও পেশাভিত্তিক বৈষম্য প্রতিরোধে প্রস্তাবিত বৈষম্য বিলোপ আইন দ্রুত প্রণয়ন করতে হবে।
২ জাতীয় সংসদে সাধারণ ও সংরক্ষিত আসনে দলিত জনগোষ্ঠীর সংখ্যাঅনুপাতে প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
৩ জাতীয় বাজেট দলিত জনগোষ্ঠীর জন্য সুনির্দিষ্ট ভাবে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির বরাদ্দ বাড়াতে হবে।
৪ সকল মহানগরী ও পৌরসভায় দলিত জনগোষ্ঠীর সবার জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।
৫ পরিছন্নতাকর্মীদের পেশাগত স্বাস্থ্যঝুঁকি বিশেষ বিবেচনায় এনে তাদের সুরক্ষার সকল উপকরণ সরবরাহ করতে হবে।
৬ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সহ দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দলিত প্রার্থীদের ভর্তির কোটা প্রবর্তন করতে হবে।
৭ সকল ধরনের সরকারি চাকরিতে দলিত জনগোষ্ঠীর জন্য কোটা ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে।
৮ দলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ঝরে পড়া রোধকল্পে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ এবং এই জনগোষ্ঠীর ছাত্র-ছাত্রীদের বিশেষ উপবৃত্তির পরিমাণ বাড়াতে হবে।
এ উপস্থিত ছিলেন।
প্রবীণ সাংবাদিক ও সাবেক প্রেসক্লা এর সভাপতি আবু তাহের, প্রেসক্লা এর সাধারণ সম্পাদক, অমিতাভ রায় অপু, চ্যানেল ২৪ এর জেলা প্রতিনিধ আদিল হোসেন তপু, মানবাধিকার কর্মী মোবাশ্বর উল্লাহ চৌধুরী, উপ-পরিচালক ও
স্থানীয় সরকার বিবেক সরকার, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ দেলোয়ার হোসেন, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা (শহর) মোঃ মিরাজ আহমেদ, উপ-পরিচালক মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ইকবাল হোসেন, মোঃ আলাউদ্দিন উপদেষ্টা বিডিইআরএম
রঞ্জিত কুমার বেপারী সভাপতি বিডিইআরএম, স্বপন কুমার দে সাধারণ সম্পাদক বিডিইআরএম চন্দ্র মহন শিডুসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
উক্ত সভায়। প্রভাতী উন্নয়ন সংস্থা ও বিডিইআরএম এর বক্তব্যে বলা হয়েছে। বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ১৮ কোটি। দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে দলিত জনগোষ্ঠীর সম্পর্কে সঠিক কোন পরিসংখ্যান নেই। এই জনগোষ্ঠীর বিভিন্ন উৎসা এবং সংবাদ মাধ্যম থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় প্রায় ৬৫ লাখ মানুষ-সুইপার, ডোম, কানপুরি, ঋষি, কাওরা, নমঃশূদ্র, বেঁদে, রবিদাস,
চা-জনগোষ্ঠী, শব্দকরসহ প্রায় ১০০ টিরও অধিক জাতিগোষ্ঠী পরিচয়ে আমাদের দেশের বিভিন্ন শহর গ্রাম ও চা বাগানে বসবাস করছেন। এদের মধ্যে যারা অর্থ সামাজিক রাজনৈতিক সাংস্কৃতিকভাবে বঞ্চিত ও বৈষম্যের শিক্ষা এবং সামাজিকভাবে স্বীকৃত কিছু নির্দিষ্ট পেশা গ্রহণে বাধ্য হয়। আমাদের জাতীয় বাজেটে গত পঞ্চম অর্থবছর ধরে হিজরা বেঁধে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য ২০ ২২ -২০ ২৩ অর্থবছরে ৭২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ ধরা হয়েছে এবং উপকারভুগী ধরা হয়েছে ৬৫ হাজার, যেখানে অর্থের পরিমাণ ও উপকার বুগির সংখ্যা মোট জনগোষ্ঠীর তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল।